
| শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 81 বার পঠিত
অর্থবিজ প্রতিবেদক : জনতা ব্যাংকে দীর্ঘদিন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচলিকের (ডিএমডি) একাধিক পদ শূন্য রয়েছে। ব্যাংকের চারটি উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদের মধ্যে মাত্র একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আছেন। তিনি কিছুদিন আগে যোগদান করেছেন। অপর তিনটি পদ এখনো শূন্য রয়েছে। শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রাষ্ট্র মালিকানাধীন গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাংকটিতে উপ-ব্যবস্থাাপনা পদ দীর্ঘ দিন শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও অনুরুপ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কবে নাগাদ এই শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হবে, এ বিষয়ে ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা কিছুই বলতে পারেন না। তারা শুধু বলেছেন, এটি মন্ত্রনালয়ের ব্যাপার। তাদের ইচ্ছার ওপর সব নির্ভর করছে। এ ভাবে রাজনৈতিক ও আমলা নির্ভর প্রশাসন হওয়ায় ব্যাংক খাতও নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে।
জানা গেছে, ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থানা পরিচালকের ডিএমডি) শূন্য পদে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের নিয়োগ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। আগে এ পদে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকদের মধ্য থেকে সিনিয়রিটি এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়া হতো। ফলে তখন এ ধরনের সংকট কখনো দেখা দেয়নি। ব্যাংকের অভ্যন্তরিন পদোন্নতি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ডেও অনুমোদনের প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ পদে নিয়োগ দিতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে এ চিত্র পাল্টে গেছে। ব্যাংকের এমডির এ ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমান নিয়োগ বিধি মালায় ব্যাংকের ডিএমডি পদ শূন্য হলে অর্থমন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাকে জানাতে হয়। মন্ত্রনালয় এই ব্যাংকের অভ্যন্তরিন অথবা অন্য যে কোন ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক পদে অথবা উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত যে কাউকে এই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেন। এতে ব্যাংকের গুরুত্বপূন্য এই পদে নিয়োগ পেতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। এ কারণে ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া দায়িত্বে থাকা একজন ডিএমডি’র ওপর অধিক চাপ পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ব্যাংকে ডিএমডি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা এক সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে ন্যাস্ত ছিল। তখন পদটি শূন্য হবার আগেই ব্যাংকের অভ্যন্তরে কর্মরত মহা-ব্যবস্থাপকদের মধ্য থেকে সিনিয়র ও যোগ্যতার বিবেচনায় কাউকে পদোন্নতি দিয়ে ডিএমডি করা হতো। কিন্তু মন্ত্রনালয় ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের এই ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর ব্যাংকে হরহামেশাই এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাংকের অভ্যন্তর থেকে পদোন্নতি দিয়ে কাউকে ডিএমডি না করায় মহা-ব্যবস্থাকদের ভাগ্যে পদোন্নতি নিয়ে ডিএমডি হবার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না।ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদেরকে মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) পদ থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষও কাজ করছে।
Posted ৪:৫১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman