
| বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 208 বার পঠিত
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেপডর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেμেটারী জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান
জাতীয় বীমা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে এ দেশের গণমানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১সালের মধ্যে উন্নত বিশে^র কাতারে শামিল হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ পথ পরিμমায় বীমা অন্যতম অনুসঙ্গ। আজকের এই দিনে আমি গভীরভাবে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বীমা পেশায় ছিলেন বলেই আজকের এই দিনটি আমরা পেয়েছি। বীমা দিবসের শপথ হোক দ্রুত বীমা দাবী পরিশোধের। বীমা দিবস সকল বীমা পেশাজীবিদের একটি আনন্দের দিন।
ঈষধরস শব্দের আভিধানিক অর্থ দাবী উত্থাপন করা, শর্তানুসারে প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ চাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু জীবন বীমার ক্ষেত্রে ঈষধরস বলতে বীমা গ্রহীতার জীবনের কোন ক্ষতি বা বীমা গ্রহীতার মৃত্যুতে বীমাকারী কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষতিপূরণকে বুঝায়। জীবন বীমার ঈষধরস বা দাবী কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন- মেয়াদোত্তর দাবী, মরণোত্তর দাবী, অঙ্গহানী বা বিকলাঙ্গ দাবী, প্রত্যাশিত দাবী, গুরুতর অসুস্থ্যতা দাবী ইত্যাদি। কোন ব্যক্তি বীমা গ্রহণের পর বীমা চলাকালীন দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ীভাবে পঙ্গু বা অঙ্গহানী ঘটলে বীমার শর্তানুযায়ী বীমা কারী কর্তৃক যে দাবী পরিশোধ করা হয় তাকে অঙ্গহানী বা বিকলাঙ্গ দাবী বলে। বীমা গ্রহীতাকে মেয়াদ পূর্তিতে যে দাবী পরিশোধ করা হয়, তাকে মেয়াদোত্তর দাবী বলা হয় এবং বীমা গ্রহীতার মেয়াদকালীন বীমা চালু অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার মনোনীতককে বীমাকারী কর্তৃক যে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয় তাকে মরণোত্তার দাবী বলে।
বীমা দাবী পরিশোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানীর নির্ধারিত অনেকগুলো চাহিদার প্রয়োজন হয় সেখানে “জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড” অনেকগুলো চাহিদার পরিবর্তে কমসংখ্যক চাহিদার ভিত্তিতে মাত্র ০৭ কর্ম দিবসের মধ্যে গ্রাহকের দাবী পরিশোধ করে থাকে। উল্লেখ্য যে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে
দাবী পরিশোধের কথা থাকলেও কিছু কোম্পানী দুই থেকে দিন বছসরেও দাবী পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে যা গ্রাহক সেবার অন্তরায়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীমা দিবসের উদ্বোধন করে আমাদের এই বীমা পেশাকে গৌরবান্বিত এবং অলংকৃত করেছেন। বীমা দিবসে সরকারিভাবে র্যালী সভা সমাবেশ হচ্ছে, বীমা দিবস নিয়ে টিভিতে টকশো হচ্ছে, জাতীয় পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা হচ্ছে ফলে বীমার গুরুত অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোম্পানী যত দ্রুত দাবী পরিশোধ করবে সে কোম্পানী আগামী দিনে বীমা খাতের নেতৃত্ব দিবে।
“জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটিড” বিএফটিএন, বিকাশ, রকেট, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত দাবী পরিশোধ করে থাকে। শুরু থেকেই জেনিথ ইসলামী লাইফ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বীমা দাবী পরিশোধ করে আসছে। “জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটিড” ২০২৪ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত বীমা দাবী ও পলিসি বিনিয়োগ বাবদ ৬,০৩৯ জন বীমা গ্রাহককে প্রায় ২২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
বাংলাদেশে গ্রুপ বীমার অপার সম্ভবনা রয়েছে। জেনিথ লাইফ দেশের ৪ টি স্বনামধন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয় এবং সাউথইস্ট বিশ^বিদ্যালয়ের মোট ৪৪,০০০ শিক্ষার্থীকে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রুপ জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা চুক্তির আওতায় বীমা সুবিধা প্রদান করে আসছে।
বীমার আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বীমা দাবী পরিশোধের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পরিশেষে আমি মনে করি “করবো বীমা গড়বো দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই স্লোগানের ভিত্তিতে বীমা দিবসের। অঙ্গীকার হোক দ্রুত দাবী পরিশোধ।
Posted ১২:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman