
| শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 64 বার পঠিত
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মেঘনা লাইফ ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেল বীমা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন বীমা খাতের জন্যে অনেক গুরুত্ব বহন করে। বীমা দিবসকে সামনে রেখে বীমা কোম্পানিগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের উদ্যোগে বিভিন্ন সভা সেমিনার আয়োজন করা হয়। বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে গণমুখী প্রচারণা চালানো হয়। এতে করে বীমা সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়।
বীমা খাতে বঙ্গবন্ধু’র অবদান অবিস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু’র দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বীমা পেশায় তার সম্পৃক্ততা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে আরও জোরদার করেছে। বীমা পেশায় তাকে জনগনের সাথে আরও ঘনিষ্ট হবার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার গুরুত্ব অনুধাবন করে বীমা শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স (জাতীয়করণ) আদেশ-১৯৭২ জারি করে ৪৯টি দেশি-বিদেশি বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সুরমা, রূপসা, তিস্তা এবং কর্ণফুলী নামক ৪টি বীমা কর্পোরেশন গঠন করেছিলেন। একই সঙ্গে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জাতীয় বীমা কর্পোরেশন গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে “ইন্সু্যুরেন্স কর্পোরেশন আইন-১৯৭৩” প্রণয়ন করে এই ৪টি করপোরেশনকে একিভূত করে জীবন বীমা করপোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন নামে দুটি পৃথক বীমা কর্পোরেশন গঠন করা হয়। এ দুটি কর্পোরেশন এখনও দেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনগণকে বীমা সেবা দিয়ে আসছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কল্যাণে।
জাতীয় অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বীমা খাতের এখনো আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। তবে জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ে এখাত আলোচনায় এসেছে। সে দিক থেকে জাতীয় বীমা দিবস বীমা খাতের জন্যে অনেক গুরুত্ব বহন করে। বীমা দিবসকে সামনে রেখে বীমা কোম্পানিগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের উদ্যোগে বিভিন্ন সভা সেমিনার আয়োজন করা হয়। তখন বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে গণমুখী প্রচারণা চালানো হয়। এতে করে বীমা সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। এটা বীমার পেনিট্রেশন বৃদ্ধির জন্য খুবই দরকারী। বীমার সুফল সম্পর্কে মানুষ যত বেশি জানবে ততোবেশি বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে কিছু বীমা বাধ্যতামূলক করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে বীমা খাত আরো বেশি কনট্রিবিউট করতে পারবে।
তিনি বলেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখনো বীমা কাভারেজের বাইরে রয়েছে। তাদের বড় অংশের বীমা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই। জনগন বীমা পলিসির প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা সম্পর্কে সচেতন নয়। অনেকের ধারনা বীমা করলে প্রতারিত হতে হয়। অথচ বীমা মানুষের কিছুটা হলেও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। বীমাসেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা দুরিকরনে প্রচার-প্রচারণার অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বীমা দিবস মানুষের মধ্যে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিচ্ছে। জাতীয় বীমা দিবসের সফলতা কামনা করেন তিনি।
Posted ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman