শনিবার ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে : বিএম ইউসুফ আলী

  |   শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   52 বার পঠিত

বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে :  বিএম ইউসুফ আলী

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ)প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের তাৎপর্য ও সফলতা সম্পর্কে অর্থবিজকে বলেন, বীমা খাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে জাতীয় বীমা দিবস সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। এতে বীমা খাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালে ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। বীমা খাতে এ কারণে এ দিবসটি অনেক তাৎপর্য বহন করে। প্রধানমন্ত্রী বীমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে এ খাত সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে এবং বীমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছেন। প্রতি বছর এ দিনটি বীমা দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পঞ্চম বারের মতো দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করায় তিনি সরকার এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) বিআইএফ’র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ। রাজনীতি ছিল তাঁর ধ্যান ও জ্ঞান। রাজনৈতিক ব্যস্ততার মাঝেও তিনি বীমা পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত করে এ পেশার গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলেছেন। এ জন্য আমরা গর্ববোধ করি। আমরা সমাজে আরও সম্মানিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল সমাজে তৃণমূল পর্যায়ে গণমানুষের আর্থিক ভীত দৃঢ় করা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই কাজ এগিয়ে নিতে এবং বীমাখাতের উন্নয়নে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন স্বার্থক হবে।
বিএম ইউসুফ আলী জাতীয় অর্থনীতিতে ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে অর্থনীতির আকার বড় হলেও বীমা খাত এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পারেনি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বীমা শিল্পের অবদান আশানুরূপ নয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা এখনো কিছুটা পিছিয়ে আছি। এ ধরনের দিবস উদযাপনে বীমা শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ৮১টি বীমা কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ৩৫টি জীবন বীমা এবং ৪৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় জিডিপিতে দেশের বীমা খাতের অবদান কম। বর্তমানে জিডিপিতে দেশিয় বীমা কোম্পানিগুলোর অবদান ১ শতাংশেরও কম। তাই সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইন্স্যুরেন্স পেনিট্রেশন বৃদ্ধির ক্ষেত্র এখনো ব্যাপক। জিডিপিতে বীমা খাতের প্রেনিট্রেশন বৃদ্ধির জন্য এ খাতে মানুষের যে আস্থা সংকট রয়েছে সেটা দূর করতে হবে। জাতীয় বীমা দিবস বীমা খাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কারণ জাতীয় বীমা দিবসে দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। এতে বীমা খাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতীয় বীমা দিবসে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভূমিকা সম্পর্কে বি এম ইউসুফ আলী বলেন, বীমা খাতে জাতীয় বীমা দিবসসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম সহযোগী ভূমিকা পালন করে আসছে। সংগঠনটি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে। এছাড়া যেহেতু সংগঠনটি বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহীদের নিয়ে গড়া সেক্ষেত্রে বীমা খাতের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে যে আইন ও বিধি রয়েছে সেগুলো পরিপালনে সিইও’রা মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই বলা যায়, বীমার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে সিইওদের একটা বড় অবদান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য এই খাতটিকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম নিরলস ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছে বীমার গ্রাহক ও আমানতকারীরা। আশা করি ভবিষ্যতে বীমাকে অর্থনীতির একটি প্রধান স্তম্ভ হিসেবে দাঁড় করানোর পাশাপাশি জিডিপিতে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪

Arthobiz |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক : অহিদুজ্জামান মিঞা
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: খান ম্যানশন, ৮-ই, ২৮/এ-৫, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: arthobiz61@gmail.com
যোগাযোগ: 01670045191