
| বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 129 বার পঠিত
অর্থবিজ প্রতিবেদক :
মন্ত্রিসভা সড়ক পরিবহন আইন (সংশোধন) -২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
মাটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ এ থার্টপার্টির ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দন্ডের বিধানও ছিল। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে থার্টপার্টি বীমা সুবিধা তুলে দেওয়া হয়। মটর বীমা ছেড়ে দেওয়া হয় মালিকের ইচ্ছার ওপর। ইচ্ছা করলে কেউ তার গাড়ির বীমা করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন, এতে আইনের কোন লংঘন হবে না। এ নিয়ে কিছুদিন আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও মটরযান মালিকদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এরপর ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে । এ বছরের ডিসেম্বরে থার্টপার্টি বীমা ঝুঁকি তুলে দেয় বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
এর পর মটর যান মালিকরা বিশেষ করে প্রাইভেটকার মালিকরা মটর বীমা করতে নিরুৎসাহিত হন। এতে সাধারণ বীমায় কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সাধারন বীমা ব্যবসায়িরা মটর বীমা পুনরায় চালু করতে দাবি জানায় সরকারের কাছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বেও সাথে আমলে নেয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মোটরযান মালিককে বীমা করতে হবে। এ বিষয়ে নতুন আইনে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী মোটরযান মালিক বীমা না করলে তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী থার্টপার্টি মটর বীমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে থার্টপার্টি মটর বিমা তুলে দেওয়া হয় এবং যানবাহনের বিমার বিষয়টি মালিকের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, খসড়ায় মটর বীমা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনে আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’
Posted ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman