
| বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 23 বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ শ্রমিক দলের মহাসমাবেশে বলেছেন, ‘রাষ্ট্র, রাজনীতির গুণগত সংষ্কারের জন্য যেমন গুণগত সংষ্কার প্রয়োজন ু তেমনি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন নির্বাচন। বিএনপি মনে করে সংষ্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমাদের আহবান স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার প্রস্তাবনা প্রণয়ন করুন। কোনও রাজনৈতিক দলের আপত্তি নেই। তবে পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত করুন। সুনির্দিষ্টিভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রুপরেখা ঘোষণা করুন। অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিকল্পনায় পথনকশা গণতন্ত্রকামী জনগণের নিকট সুস্পষ্ট থাকলে জনমনে সন্দেহ, সংশয় কেটে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, দেশে এখন প্রতিনিয়ত সংস্কার নিয়ে শোরগোল হচ্ছে। গণ্যমাধ্যমের খবর কিংবা টক শো সবখানেই সংস্কার। কিন্তু এই কর্মযজ্ঞে কৃষক, শ্রমিকের কন্ঠস্বর কোথায়। তারাই তো গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তারা কোথায়, কার কাছে তাদের সমস্যা বা সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা মনে করি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ, দুর্দশা, সমস্যা, সম্ভাবনার কথা যাতে রাষ্ট্র ও সরকারের কানে পৌঁছায়— সেজন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, জাতীয় সংসদ ও নির্বাচিত সরকার দরকার। কারণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগণের কথা শুনতে বাধ্য।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং সরকারে সংস্কারের জন্য বাংলাদেশের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সাথে আলোচনা করে বিএনপি ২০২৩ সালেই ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলো।
মে দিবসের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে বলেন, এই সভ্যতা এই পৃথিবী বড় বড় অট্টালিকা সবকিছুর মূলে শ্রমিকদের রক্ত, ঘামের অবদানের মধ্য দিয়ে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে অর্জিত সেই দিবসই পালিত হচ্ছে
মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে বঞ্চিত শ্রেণী হচ্ছে শ্রমিক সমাজ। তারা গোটা সভ্যতাকে বাচিয়ে রাখে। উৎপাদন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু শ্রমিক সমাজের জন্য যে কাজ, যে প্রয়োজনু সেটা হয়ে উঠেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এসব উপলদ্ধি করে সেসময় গার্মেন্টস চালু করেছিলেন। একইসাথে শ্রমিক রপ্তানির ব্যবস্থা করেছিলেন। গার্মেন্টসসহ নানা শিল্প গড়ে তুলেছিলেন। শ্রমিকদের শিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শ্রম আদালত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা রাজনৈতিকভাবে অস্বাভাবিকতার মধ্যে আছি। আমরা ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়েছি, কিন্তু এখনো ভোটের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গঠন করতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি সংস্কারকে দ্রুত ত্বরান্বিত করুন। প্রেসিডেন্ট জিয়া বাকশাল থেকে সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ করেছিলেন। মিডিয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সুতরাং সংষ্কার আমোদের দাবি। সংস্কার আমাদের সন্তান। এজন্য আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্যাসিবাদের আমলেই ৩১ দফা দিয়েছিলেন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেসব সংষ্কারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে নির্বাচন দিন। সেগুলো নিয়ে জুলাই চার্টার করে— পার্লামেন্টকে ফাংশনাল করব। আজকে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করে এমন কোন চুক্তি করবেন না যেটা রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
Posted ৬:৩৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
Arthobiz | zaman zaman