শুক্রবার ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

১২টি বীমা কোম্পানির সিইও পদ শূন্য : বীমা কর্তৃপক্ষ হার্ড লাইনে

  |   শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   167 বার পঠিত

১২টি বীমা কোম্পানির সিইও পদ শূন্য : বীমা কর্তৃপক্ষ হার্ড লাইনে

বিশেষ প্রতিবেদক :
বীমা খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) হার্ড লাইনে। কোন অবস্থায় বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী (সিইও) পদ ৬ মাসের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। বীমা আইনের এই ধারা পরিপালনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এই আইন লংঘন করায় ইতোমধ্যে কয়েকটি বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বীমা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সিইও পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্তকতাও জারি করা হয়েছে। তবে এ ধরনের কঠোর অবস্থানের পরও কোন কোন বীমা প্রতিষ্ঠান সিইও পদ শূন্য রেখেই পরিচালিত হচ্ছে এবং সে সকল বীমা কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত এমডি সাবলিল ভাবেই সিইও পদ ব্যবহার করছেন। তারা বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নির্দেশনা কার্যকরে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
জানা গেছে, লাইফ ও নন-লাইফ খাতের ১২টি বীমা কোম্পানির সিইও পদ দীর্ঘ সময় শূন্য রয়েছে। এ সকল কোম্পানির মধ্যে কিছু বীমা কোম্পানির নিয়োগ অনুমোদনের আবেদন নিয়ন্ত্রক সংস্থায় দীর্ঘ সময় পড়ে আছে। ইতোমধ্যে ৬টি বীমা কোম্পানির সিইও পদে নতুন নিয়োগ ও নবায়ন প্রস্তাব সঅনুমোদন করেছে বীমা কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন চেয়ে করা আবেদন পত্র যাচাই বাছাইয়ে কর্তৃপক্ষের সময় ক্ষেপন হচ্ছে। কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে বীমা কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিলেও তাতে সুফল বয়ে আনে নাই। অভিযুক্ত বীমা কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষের নেয়া আইনগত ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গিয়েছে। কোন কোন কোম্পানি ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আদেশ কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ করিয়ে নিয়ে এসেছে। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বীমা কোম্পানিগুলো তাদের মতো করে চলার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। পাশাপাশি বীমা কর্তৃপক্ষে মামলা পরিচালনার চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের মামলা সামাল দিতে যেয়ে কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হিমশিম খাচ্ছে। খবর নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
জানা গেছে, বীমা খাতে লাইফ ও নন-লাইফ খাতে এখনো ১২টির অধিক বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নেই। ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে এ সকল বীমা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এদের বেশির ভাগ ভারপ্রাপ্ত এমডি কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) পদে কর্মরত । অথচ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তারা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পদবি ব্যবহার করছেন। এ ভাবে কোম্পানির স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালিত হওয়ায় কোন কোন কোম্পানি যোগ্য কোন বীমা কর্মকর্তাকে খুজে বের করে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী পদে কথিত ভারপ্রাপ্ত সিইও দিয়ে দীর্ঘসময় কোম্পানি পরিচালনা করে বীমা আইন লংঘন করার বিষয়টি বীমা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এ কারনে কর্তৃপক্ষ অতিসম্প্রতি এক সার্কুলার জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া মুখ্য নির্বাহী পদবি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি ও দায়িত্ব পালনকারি ভারপ্রাপ্ত এমডিকে সতর্ক করে দিয়েছে। এ ধরনের  বীমা কোম্পানির বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে পরিচালিত বীমা কোম্পানিগুলো হচ্ছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি. আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বয়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি । সিইও পদ শূন্য থাকায় ইতোমধ্যে কয়েকটি বীমা কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। আরও কিছু বীমা কোম্পানিকে জরিমানা করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় রয়েছে।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও পদ দীর্ঘ দিন শূন্য রয়েছে। কোম্পানিটির শীর্ষ নির্বাহী পদে বর্তমানে রয়েছেন শহিদুল ইসলাম। তাকে কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি ও সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানিটির সাবেক সিইও আপেল মাহমুদ বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্য পদে চাকরি হওয়ায় তিনি কোম্পানিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন । এরপর আর কাউকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তবে বীমা নির্বাহী শহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসাবে চালিয়ে নিচ্ছেন বীমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন এ ভাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধ সেজেছে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার জারি করা সিইও পদ ব্যবহার সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সার্কুলার। বীমা কর্তপক্ষটি এখনো তাকে অথবা অন্য যোগ্য কাউকে সিইও পদে নিয়োগ দিয়ে অনুমোদন চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে নাই। এই বীমা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। গ্রাহকের প্রায় ১৮ শত কোটি টাকা পরিশোধের দায় মাথায় নিয়ে বর্তমান পরিচালনা বোর্ড দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এই বোর্ড গঠন নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। বোর্ডে পরিবার তন্ত্র প্রাধান্য পেয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থায় অভিযোগও করা হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কোম্পানির বিগত সময়ের দু’জন চেয়ারম্যান ও কয়েকজন পরিচালককে জেলে যেতে হয়েছে। সে সময়ের এমডি হেমায়েত উল্লাহকে জেলে যেতে না হলেও বলা চলে বীমা সেক্টর থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। কোম্পানিটির সাবেক পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে আদালাতে মামলা চলমান রয়েছে।
আকিজ তাকাফুল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ অতিসম্প্রতি অনুমোদন হীন দীর্ঘ সময় দায়িত্বপালনকারি এমডি আলমগীর চ্যেধুরীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তাকে আগাম তিন মাসের নোটিশ পে দিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। আকিজ তাকাফুল ইসলামী লাইফের সাথে তার এখন আর কোন সম্পৃক্ততা নেই। কোম্পানিটিতে নতুন সিইও নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহবান করা হয়েছে। । ইতোমধ্যে পাচঁটি দরখাস্ত জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি একজনকে নিয়োগ দিবে এবং তার নিয়োগ অনুমোদন চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবারে কোন নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে শুধু বীমা কোম্পানিটির পছন্দকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব না দিয়ে প্রার্থীর সরাসরি সাক্ষাৎকার নিবে। প্রার্থী বীমা কোম্পানিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে যোগ্য বিবেচিত হলে এবং সিইও নিয়োগ প্রবিধানমালার সকল শর্ত পূরন হলেই কেবল অনুমোদন মিলবে। এ ক্ষেত্রে তার বেতন ভাতাও কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে দিবে। বীমা কোম্পানিটির সাবির্ক ব্যবসা এবং গ্রাহকের দাবী পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে তার বেতন ভাতা নির্ধারন করা হবে। কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত বেতন ভাতার বাইরে কেউ অতিরিক্ত বেতন ভাতা অথবা আর্থিক সুবিধা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
বীমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এর আগে আকিজ তাকাফুলরর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। অনুমোদন ছাড়া বীমা কোম্পানিটির দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালনকারি এমডি আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন আবেদন না মঞ্জুর করে বীমা কর্তৃপক্ষ। আলমগীর চৌধুরী উচ্চ আদালতে রীট করে কর্তৃপক্ষের আদেশে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন এবং দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তবে কিছুদিনের মধ্যে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। আকিজ তাকাফুল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আলমগীর চৌধুরী তার রীটটি প্রত্যাহার করে নেন। বীমা কোম্পানিটি তার সকল পাওনা পরিশোধ করে তাকে বিদায় করে দেন।
স্বদেশ ইসলামী লাইফে সিইও পদ দীর্ঘ দিন শূন্য রয়েছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীর্িিতর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বীমা কর্তৃপক্ষ এক পর্যায়ে কোম্পানিটির সিইওকে অপসারন করে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। কিন্তু এই প্রশাসকও বেশি দিন দায়িত্ব পালন করতে পারে নাই। তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে বীমা কোম্পানিটির পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি রীট করে তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। ব্যাংকে থাকা কোম্পানিটির পেইড আপ ক্যাপিটাল তুলে খেয়ে ফেলায় বীমা কর্তৃপক্ষ কোম্পানির টাকা ব্যাংকে পুর্নভরন করার একাধিকবার তাগাদা দেয়া সত্বেও কোন সাড়া না পাওয়ায় বীমা কর্তৃপক্ষ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় সবকিছু থমকে দাড়িয়ে আছে।
সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটিতে ব্যাপক দুর্ণীতির অভিযোগে সাবেক সিইওকে অপসারন করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। এথচ এই প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার আগে বীমা কোম্পানিটির সাস্পেন্ডকৃত বোর্ড একজনকে নিয়োগ দিয়ে অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। বীমা কর্তপক্ষ তার আবেদন অনুমোদন করে নাই।
গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সিইও পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শেখ রাকিবুল করিম। কোম্পানিটির বর্তমান অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ বীমা কোম্পানিটিকেও নতুন সিইও নিয়োগ দিতে হবে।
চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহকে বীমা কোম্পানিটির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নতুন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে এস এম জিয়াউল হকের নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩ এপ্রিল। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি বীমা কোম্পানিটিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পান।
যমুনা লাইফে সিইও’র দায়িত্ব পালন করছেন কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল। দীর্ঘ সময় তিনি এ ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসলেও বীমা কোম্পানিটি তাকে পূণার্ঙ্গ সিইও নিয়োগ দিচ্ছে না। ফলে বীমা কোম্পানিটির সিইও নিয়োগ অনুমোদন চেয়ে আবেদনও করতে পারছে না। বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল এর আগে হোমল্যান্ড লাইফের এমডি ছিলেন। সেই কোম্পানিতে তিনি আইনি জটিলতায় আটকে আচেন জানা গেছে, এ জন্য যমুনা লাইফ কর্তৃপক্ষ তাকে সিইও নিয়োগ দিচ্ছে না।
ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও পদ শূন্য। কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিপলু বিশ্বাস অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সিইও পদে নতুন কাউকে এখনো নিযোগ দিতে পারে নাই। এ অবস্থায় সিইও পদে দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক সার্কৃলার কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
হোমল্যান্ড লাইফে পরিচালকদের দ্বন্দে দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চলছে। কোম্পানির অনুমোদিত সিইও নেই। বীমা গ্রাহকরা তাদের দাবীও পাচ্ছে না। বায়রা লাইফের অবস্থা আরও বেগতিক। কখনো কোম্পানির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় বীমা সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা কোম্পানি গুলোর সংগঠন বিআইএ’র সহায়তা চেয়েছে।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। নতুন ম্যানেজমেন্টে পরিচালিত বীমা কোম্পানিটিতে একজনকে ভারপ্রাপ্ত এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ৬ মাস না যেতেই তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটিতে নতুন সিইও নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সে সিইও পদ দীর্ঘ সময় শূন্য রয়েছে। বীমা কোম্পানির সাবেক সিইও হাসান তারেক কোম্পানিটি ছেড়ে আসার পর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে মোশাররফ হেসেনকে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তাকে কোম্পানিটির ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়োগ দেয়া হয়। তবে কোম্পানিটির অনিয়মের ঘটনায় বীমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ইতোমদ্যে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৫২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

Arthobiz |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক : অহিদুজ্জামান মিঞা
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: খান ম্যানশন, ৮-ই, ২৮/এ-৫, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: arthobiz61@gmail.com
যোগাযোগ: 01670045191