শুক্রবার ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

শিবলী রুবাইয়াত ও ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক

  |   মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   43 বার পঠিত

শিবলী রুবাইয়াত ও ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক

অর্থবিজ ডেস্ক :
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পদত্যাগকৃত সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং তার ৮ সহযোগী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মানি লন্ডারিং শাখা।
শিবলী রুবাইয়াত ও ৮ কর্মকর্তারর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন ও বিধিমালা লংঘন করে স্ব স্ব নামে ও তাদের পরিবারের পরিজনের নামে-বেনামে দেশে ও বিদেশে (সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে) উৎস বহির্ভূত এক হাজার কোটি টাকা সম-পরিমাণ স্থাবর, অস্থাবর, অবৈধ সম্পদ করেছেন।
এই ৮ জন সহযোগী কর্মকর্তা হচ্ছেন- সাবেক কমিশনার শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুবুর রহমান, পরিচালক মোঃ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক এস কে মোহাম্মদ লুৎফুল কবির ও যুগ্ন পরিচালক ও চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. রাশিদুল আলম।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে বসে বেআইনিভাবে শেয়ার ব্যবসা করেছেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। শেয়ার ব্যবসা করতে গিয়ে শিবলী রুবাইয়াত শেয়ার কারসাজির অন্যতম হোতা আবুল খায়ের হিরোর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি এলআর গ্লোবালকে একের পর এক বিতর্কিত সুবিধা দিয়েছেন শিবলী। এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামের সঙ্গে দুবাইয়ে সিগমা ম্যানেজমেন্ট নামে যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তিনি। ওই কোম্পানির পার্টনার শিবলীর বড় ছেলে যুহায়ের ইসলাম।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাবেদ এ মতিনের হংকংয়ের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়া, প্রতারণার অর্থ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে পাচার করে আনা এবং এক্ষেত্রে অধ্যাপক শিবলীর প্রত্যক্ষ সহায়তার তথ্য পাওয়া গেছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার সময়ই শিবলী ঋণখেলাপি ছিলেন। অর্থঋণ আদালতে মামলায় ২০০৭ সাল থেকেই টানা প্রায় ১৬ বছর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান পদে চার বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালনের প্রথম দুই বছর চার মাস পর্যন্ত তিনি ঋণখেলাপি ছিলেন এবং তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন থাকাকালীন অনৈতিকভাবে ডাকসুর ৮ নেতাসহ ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করায় জড়িত থাকার অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এবং আবুল খায়ের হিরু মিলে বন্ধ থাকা কোম্পানি চালুর উদ্যোগ নেন। এরা অবৈধভাবে সুবিধা নিয়ে বন্ধ কোম্পানি চালু করার নামে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নিজস্ব লোকদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ দিয়ে বেশকিছু কোম্পানি দখল করেন। এরমধ্যে এমারেল্ড অয়েলের পর্ষদ ভেঙ্গে মিনোরি বাংলাদেশকে মালিকানা দিয়ে শেয়ার কারসাজি করে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দূদকের মানি লন্ডারিং শাখা দুদক উক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:১৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Arthobiz |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক : অহিদুজ্জামান মিঞা
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: খান ম্যানশন, ৮-ই, ২৮/এ-৫, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: arthobiz61@gmail.com
যোগাযোগ: 01670045191