
| মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 25 বার পঠিত
বিশেষ সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সৌজন্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময় সভা আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক এ মতবিনিময় সভায় ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বারর্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। ডিসিসিআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮৯ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬২৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ও ৬১ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে ঔষধ, অর্গানিক কেমিক্যাল, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক এবং কৃষিপণ্য উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতা, শুল্ক বিষয়ক প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে সরাসরি যোগাযোগ স্বল্পতা ও বন্দর সুবিধার অপর্যাপ্ততার কারণে দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যার নিরসন একান্ত অপরিহার্য। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
এফপিসিসিআই সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ বলেন, প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
তিনি জানান, বাংলাদেশে পাকিস্তানের মোট রপ্তানির প্রায় ৫৫ শতাংশ আসে টেক্সটাইল ও পোষাক খাত থেকে, অপরদিকে বাংলাদেশের রপ্তানির সিংহভাগই নির্ভর করে তৈরি পোষাক খাতের উপর, তাই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে আরও নতুন পণ্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তান থেকে কৃষি পণ্য, চাল, সিরামিকসহ অন্যান্য পণ্য আরও বেশি হারে আমদানির জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
তথ্য-প্রযুক্তি ও মোবাইল ফিন্যান্সিং খাতে সম্প্রতি বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে উল্লেখ করে আতিফ ইকরাম বলেন, বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তিখাতে দুদেশের ব্যবসায়ীরা যৌথ বিনিয়োগে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, সম্প্রতি সমুদ্রপথে দু’দেশের পণ্য পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে এ ধরনের ইতিবাচক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
এফপিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সাকিব ফায়াজ মাগুন বলেন, দেশ দুটোর বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে দু’দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কার্যক্রম আরও জোরাদার করতে হবে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যকার পণ্য আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ যত বেশি হবে, পণ্যের মূল্য তত হ্রাস পাবে।
ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী দুদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর উদ্ভাবনী সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের হাইটেক পার্কে পাকিস্তানের তথ্য-প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ডিসিসিআই’র সদস্যভুক্ত শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. সালেম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা লাইফের এমডি বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে ধুম্যজাল সৃষ্টি
অর্থবিজ প্রতিবেদক :
যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাবার মাত্র সাড়ে ৫ মাসের মাথায় আজ তিনি চাকরি হারালেন। ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট এ কোম্পানিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তবে তার এই অব্যাহতি দেয়া নিয়ে ধুম্যজাল সৃষ্টি হয়েছে। বোর্ডের পরিচালকদের অনেকেই এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানা গেছে।
যমুনা লাইফের চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান তার অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করেন। পত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৫৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তক্রমে আপনাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়, সেই সাথে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির বৃহত্তর স্বার্থে অদ্য ১৪ জানুয়ারি -২০২৫ থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ (চলতি দায়িত্ব) হতে আপনাকে অব্যহতি দেয়া হলো। তবে বোর্ড সভায় এ বিষয়ে কোন প্রকার আলোচনা বা সম্মতি নেয়া হয়নিবলে জানা গেছে। যমুনা লাইফের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা ওই চিঠির অনুলিপি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির একটি সূত্রে জানা গেছে, যমুনা লাইফের চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান কোন একটি মহলের চাপে পড়ে এই অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করেন। তিনি স্বেচ্ছায় সাক্ষর করেন নাই। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে অব্যাহতি দেয়ার ক্ষেত্রে বোর্ডের কোন সম্মতিও নেয়া হয়নি। ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল এর আগে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান এবং এমডি ড. বিশ্বজিত কুমার মন্ডলের মোবাইলে একধিকবার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোনটি রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
Posted ৭:৫০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
Arthobiz | zaman zaman