
| মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 122 বার পঠিত
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। বীমা কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ব্যবসার দশ বছর অতিক্রম করেছে এবং সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৩ সালে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয়। এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নামে কোম্পানিটি ব্যবসায়িক লাইসেন্স পায়। পরবর্তীতে কোম্পানির এনআরবি নাম পরিবর্তন করে বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামকরণ করা হয়। সেই থেকে গ্লোবাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি এখন বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামে পরিচিত এবং এই নামে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের বীমা কোম্পানি হলেও বেঙ্গল ইসলামি লাইফ প্রশাসনিক দক্ষতা, ব্যবসায়িক সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণের মাধ্যমে বীমা সেক্টরে সুখ্যাতি অর্জন করে বীমা বাজারে একটি নিজস্ব স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন দেশের সুনামধন্য ব্যবসায়িগণ। দূরদর্শী সম্পন্ন পরিচালনা পর্ষদের বিচক্ষণ নীতিনির্ধারণী দিকনির্দেশনা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বীমা কোম্পানিটি দেশের বীমা অঙ্গনে একটি আলোচিত ইসলামি বীমা কোম্পানি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। কোম্পানিটির রয়েছে দেশের বিশিষ্ট ইসলামি ফিকাহ্ শাস্ত্রে অভিজ্ঞ আলেমদের নিয়ে গঠিত একটি শরীয়া বোর্ড। ম্যানেজমেন্টে রয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন বীমা অঙ্গনের সুপরিচিত অত্যন্ত সৎ বিনয়ী উচ্চ শিক্ষিত ও বীমা পেশায় দক্ষ একজন নির্লোভ ব্যক্তিত্ব এম. এম মনিরুল আলম। তিন দশকের অধিক সময় তিনি একটানা বীমা পেশায় নিয়োজিত আছেন। দেশের নামকরা বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। ১৯৯১ সালের মার্চে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে এমটিও বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে বীমা পেশায় তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এ কোম্পানিতে তিনি সর্বশেষ গ্রুপ বীমা বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ডেল্টা লাইফ হতে প্রগতি লাইফে যোগ দেন। প্রগতি লাইফ কোম্পানিতে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর চাকরি করেন। সর্বশেষ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করে এ কোম্পানি থেকে অব্যাহতি নিয়ে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দিয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। তাঁর অধীনে এনআরবি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামকরণ করা হয়। তিনি এই কোম্পানিতে সুনামের সাথে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নিবার্হী কর্মকর্তা পদে তার নিয়োগের ১ম মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হয়। কোম্পানির দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ তাঁর কর্মদক্ষতায় সন্তÍুÍষ্ট হয়ে তাঁকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাঁর নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন করবে বলে আশাবাদি কোম্পানির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
জনাব মনিরুল আলম ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে ১ম শ্রেণিতে অনার্স এবং ১৯৮৭ সালে মার্স্টাস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পেশাগত দক্ষতা অর্জনে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করেন। সফরকালে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নেন। তিনি চাকরির পাশাপাশি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এবং ডিইইউ ৮৩ ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রোটারি ক্লাব অব ঢাকা গ্রীনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও পল হ্যারিস ফেলো। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার সহধর্মিনীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তারা বর্তমানে ইংল্যান্ডে লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করছেন।
বীমা সেক্টর এবং বেঙ্গল ইসলামি লাইফ লিমিটেডের সার্বিক পরিস্থিতি ও এই বীমা কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ হয়। অর্থবিজ পত্রিকার সঙ্গে তার আলাপচারিতা প্রশ্নোত্তর আকারে পত্রস্থ করা হলো।
অর্থবিজ : বাংলাদেশে বীমা খাতের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আপনার অভিমত আমাদের জানাবেন কি?
মনিরুল আলম : অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত হচ্ছে ব্যাংক ও বীমা। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এ দেশে বীমা ব্যবসা প্রসারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমে বিকশিত হয়েছে। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার হার বেড়েছে, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মানষ সঞ্চয়মুখি হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে একটি বড় বীমা বাজার রয়েছে। দেশে বীমা খাতের অনেকটাই বিস্তৃতি ঘটেছে। তবে বীমা খাতের আশানুরূপ অগ্রগতি ঘটেনি। দেশের মোট জনসংখ্যার সামান্য একটি অংশ বীমার আওতায় এসেছে। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বীমার আওতায় আনার এখনো সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বীমা খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বীমা আইন-২০১০ এর আলোকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সময়োপযোগি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করছে। বীমা কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সংস্থা অনেকটা সফলও হয়েছে। বীমা কোম্পাগিুলোকে এখন পলিসি ও দাবী পরিশোধের হাল নাগাদ তথ্য বীমা কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ে অবহিত করতে হচ্ছে। গ্রাহকরাও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নিজের পলিসির সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারছে। বীমার প্রয়োজন সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নানা প্রচারনা চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় বীমা দিবস পাল করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রচারনা কর্মসূচী পালনের ফলে বীমা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার বিশ্বাস বর্তমান সরকারের সময়ে দেশ যেভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বীমা খাতও তেমনি এগিয়ে যাবে। সরকার বীমা খাতের গুরুত্ব উপলব্দি করে এই খাতের প্রসারে বীমা আইন সংশোধন করে আইনটি সময়োপযোগ করেছে। ফলে অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে বীমা খাত বর্তমানে ভাল অবস্থানে রয়েছে বলে আমার ধারণা।
অর্থবিজ : দেশে বীমা ব্যবসার প্রসার আশানুরূপ না হওয়ার পেছনে কোন কারণটি বেশি দায়ি বলে আপনি মনে করেন?
মনিরুল আলম : দেশে বর্তমানে ৮২টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং ৪৬টি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। অধিক সংখ্যক বীমা কোম্পানি গঠিত হওয়ায় বীমা ব্যবসায়ের জন্য কোন সমস্যা তৈরি করেনি। আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠির মাত্র ৮ শতাংশ লোক বীমার আওতায় এসেছে। এখনো অনেক লোককে বীমার আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল। বীমা সেক্টরে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। অদক্ষ জনবল দিয়ে বীমা ব্যবসার প্রসার ঘটানো কঠিন। এ জন্য দরকার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রতিটি বীমা কোম্পানির নিজস্ব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া সরকারি উদ্যোগেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। বীমা ব্যবসা প্রসারে অন্যতম বাধা কিছু বীমা কোম্পানির বীমা সেবা ও দাবী পরিশোধে গড়িমোসি করা। মেয়াদ শেষে ৯০ দিনের মধ্যে বীমা দাবী পরিশোধের আইনগত বাধ্যবাদকতা থাকলেও অনেক বীমা কোম্পানি এ আইন পরিপালন করে না। এর প্রভাব গোটা বীমা সেক্টরে পড়ছে।
অর্থবিজ : দেশে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে চারটি বীমা কোম্পানি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হওয়ায় বীমা কোম্পানিগুলো ব্যবসায়ে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে।
মনিরুল আলম : বীমা সেক্টরে সরকারের এটি একটি সময়োপযোগি পদক্ষেপ। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যাংকাস্যুরেন্স রয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পলিসি বিক্রয় ও প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা হয়। এতে ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও গ্রাহক লাভবান হবে। এ ব্যবস্থায় পলিসি বিক্রয়ের খরচ কম হবে। তামাদি পলিসির সংখ্যা কমে যাবে। ব্যাংকের মাধ্যমে পলিসি বিক্রয় হওয়ায় প্রিমিয়াম জমা নিশ্চিত হবে। ব্যাংকে গ্রাহকের হিসাব থেকে তার দেয়া প্রিমিয়ামের টাকা সময়মতো জমা হয়ে যাবে। এ জন্য বীমা কোম্পানিকে গ্রাহকের পেছনে সময় নষ্ট করতে হবে না। আবার গ্রাহকও মেয়াদ শেষে বীমার টাকা সহজে পেয়ে যাবেন। বীমার চেয়ে ব্যাংকের ওপর জনগনের অস্থা বেশি, সে কারণে ব্যাংকের মাধ্যমে পলিসি বেশি বিক্রয় হবে এবং বীমা ব্যবসা প্রসার ঘটবে।
অর্থবিজ : ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হওয়ায় বীমা কোম্পানিতে বীমা কর্মীদের চাকরি হারানোর কোন আশংকা আছে কি?
মনিরুল আলম : না, আমার ধারণা ব্যাংকাস্যুরেন্স কোন বীমা কর্মীর চাকরি কেড়ে নিবে না। তবে বীমা কর্মীদেরকে আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে। দেশে ব্যাংক গ্রাহকদের বাইরেও একটি বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের কাছে বীমা পলিসি বিক্রয়ের জন্য বীমা উন্নয়ন কর্মীর প্রয়োজন হবে। তবে সময় বদলে যাচ্ছে, মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, তাদে সচেতনতা বাড়ছে। এ ধরনের মানুষকে বুঝিয়ে একটি পলিসি বিক্রয় করার জন্য একজন শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত দক্ষ বীমা উন্নয়ন কর্মী প্রয়োজন। বীমা পেশায় শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে বীমা ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে।
অর্থবিজ: সরকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আপনার কোম্পানি এই বীমা প্রকল্পটি চালু করেছে। নতুন এই বীমা পণ্য বীমা ব্যবসা প্রসারে কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?
মনিরুল আলম : সরকার দেশের সকল সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ৪ মার্চ, ২০২৪ দেশের সকল জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য। শিক্ষার্থীর অভিভাবক বছরে মাথা পিছু মাত্র ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে একজন বীমা গ্রাহক হবার সুযোগ পাবে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা অথবা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর লেখা পড়ার খরচ যোগাতে অসমর্থ হলে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর পযর্ন্ত মাসিক ৫০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে। শিক্ষার্থীর লেখা পড়া চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে এই বীমা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অপরদিকে বীমার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। জনগণ বীমা করতে আরও উৎসাহিত হবে।
অর্থবিজ : বর্তমানে আপনার কোম্পানির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
মনিরুল আলম: কোন বীমা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার সূচক পাওয়া যায়, সেই কোম্পানির লাইফ ফান্ড ও পলিসি লাইয়্যাবিলিটির দায় মূল্যায়নের উপর। যদি কোন কোম্পানির লাইয়্যাবিলিটির পরিমাণ লাইফ ফান্ড থেকে কম হয়, তাহলে বুঝা যায়, কোম্পানির আর্থিক ভীত ভাল আছে। সেই নীরিখে কেবল ইসলামি লাইফের আর্থিক ভীত অনেক মজবুত। ইতোমধ্যে বেঙ্গল ইসলামি লাইফের পক্ষ থেকে ২০২১ ও ২০২২ সালে পলিসি বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানির ব্যবসা প্রতি বছর ৩০ শতাংশের উপরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সকল প্রকার দাবি দ্রুততার সাথে পরিশোধ কর হচ্ছে এবং কোন অপরিশোধিত দাবী নেই। আমরা স্বাস্থ্য বীমার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
অর্থবিজ : চলতি বছরে আপনার কোম্পানির ব্যবসা বৃদ্ধিতে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মনিরুল আলম : আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পলিসি প্রমোশন ও বিক্রয় এবং ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে ব্যবসা প্রসারের পরিকল্পনা নিয়েছি। এ বছর আমাদের একশত কোটি টাকার পলিসি বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ব্যবস্থাপনা ব্যয় পর্যায়ক্রমে সীমার মধ্যে নিয়ে আসারও পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৫ সালে আমরা আইপিওতে যাওয়ার আবেদন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আরো অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- ডিজিটালাইজড তাকাফুল সেবা প্রদানের মাধ্যমে জীবন বীমাকে সুদমুক্ত লাভজনক সঞ্চয় ব্যবস্থায় রূপান্তর করা এবং আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করে দক্ষ জনবল তৈরী করা, স্বাস্থ্য বীমাকে গ্রাহক বান্ধব ও সহজলভ্য করা, অনলাইন ও ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে ব্যবসা সংগ্রহ।
ব্যবসা প্রসারে আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।
Posted ৯:১২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman