শুক্রবার ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

এনআরবি ইসলামিক লাইফের ব্যবসায়িক সফলতার কারিগর সিইও মো. শাহ জামাল হাওলাদার

  |   মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   357 বার পঠিত

এনআরবি ইসলামিক লাইফের ব্যবসায়িক সফলতার কারিগর সিইও মো. শাহ জামাল হাওলাদার

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানি এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। গত ৬ মে কোম্পানিটির তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। ২০২১ সালের এই দিনে কোম্পানির ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয়েছিল। কোম্পানিটির বয়স মাত্র তিন বছর। দেশে মোট ৮৩ টি বীমা কোম্পানির মধ্যে এটি একটি। কোম্পানিটি বয়সের দিক থেকে নবীন। কিন্তু গ্রাহক সেবায় কোম্পানির রয়েছে ব্যাতিক্রমি চমক। এনআরবি শুধূ দেশে নয়, বিদেশেও ব্যবসা করার সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানটি মাত্র তিন বছরে বীমা সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা, বিশ্বাস এবং নির্ভরতার প্রতীক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। একটি বীমা কোম্পানির ব্যবসায়িক সাংগঠনিক কাঠমো তৈরি করতে দু’থেকে তিন বছর চলে যায়। এনআরবির ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। কিন্ত এ সময়ের মধ্যে আলোচিত বিষয় হচ্ছে কোম্পানিটি এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসায়িক সূচকে চমক সৃষ্টি করেছে। এখন পযর্ন্ত কোম্পানিটির মেয়াদোত্তর বীমা দাবী পরিশোধের সময় হয়নি। তবে মৃত্যুদাবী উত্থাপিত হলে দ্রুততম সময়ে এই বীমাদাবি পরিশোধ করে গ্রাহক আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ সবই হয়েছে কোম্পানির দক্ষ ও অভিজ্ঞ ম্যানেজমেন্টের সুবাদে। স্বল্প সময়ে কোম্পানিটির এই সফলতার পেছনে যার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে, তিনি হলেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শাহ জামাল হাওলাদার। কোম্পানিটি যেমন নতুন, তেমনি কোন বীমা কোম্পানির সিইও হিসাবে মো. শাহ জামাল হাওলাদারে দায়িত্ব পালনও ছিল এই প্রথম। তিনি এই বীমা কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা সিইও। তার হাত ধরেই কোম্পানির ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয়। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাকে তিন বছরের জন্য মুখ্য নির্বার্হী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অনেক ভেবে চিন্তেই এই নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন করে। সরকারি অনুমোদন পেয়ে মো. শাহ জামাল হাওলাদার বীমা কোম্পানিটির ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের আস্থা অর্জনে সক্ষমতা লাভ করেন। এনআরবিতে মুখ্য নির্বার্হী পদে তার নিয়োগ তিন বছরের মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। কোম্পানিতে নতুন সিইও নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে বিচক্ষন পরিচালনা পর্ষদ তাকেই আবার বেছে নিয়েছেন। মো. শাহ জামাল হাওলাদারের সাংগঠনিক দক্ষতা, বিচক্ষনতা স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, পরিশ্রম ও সততা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে অনুপ্রাণিত করেছে তাকেই পুনরায় কোম্পানির সিইও পদে নিয়োগ দেয়ায়। তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদনের আবেদন ফাইলটি এখন আইডিআরএ’র সংশ্লিষ্ট র্কমর্তার টেবিলে। এটি এখন জাচাই বাছাই চলছে। এতো অল্পসময়ে নতুন প্রজন্মের একটি বীমা কোম্পানির সাফল্যে কোন কোন মহলে ঈর্ষা সৃষ্টি করেছে। এই মহলটি এখন তাকে নিয়ে নানা কল্প কাহিনী বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তার নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদনে বাধা সৃষ্টি করছেন। কিন্তু যে মহলটি এই হীন কাজটি করছেন, তার বিরুদ্ধে অধিক গুরুতর অপরাধ রয়েছে। তিনি বীমা আইন ও অথরিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সবধরনের অপকর্ম অনায়াসে করে যাচ্ছেন। নানা ষড়যন্ত্রের পরও মো. শাহ জামাল হাওলাদার দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ অনুমোদন পাবেন বলে আশাবাদি কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ। তিন কেন অনুমোদন পেতে পারেন এবং তার সফলতার কিছু ফিরিস্তি দিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।
২০২১ সালে বিমা কোম্পানিটির ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয়। প্রথম বছরে প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশে সাংগঠনিক অবকাঠামো তৈরিতে ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিমিয়াম আয় হয় ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং ২০২২ সালে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করে। ২০২৩ সালে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) ২০২২ সালের হিসেবে ৩৫ টি জীবন বিমা কোম্পানির মধ্যে মোট ব্যবসায় ২০ তম স্থান এবং ২০২৩ সালে মোট ব্যবসায় ২২তম স্থান লাভ করে। যা তিন বছর বয়সের বিমা কোম্পানি হিসেবে দারুন সফলতা বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও ২০২৪ সালে মোট ব্যবসায় কোম্পানিটি এপ্রিল পর্যন্ত ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার ব্যবসা করেছে। বিমা কোম্পানিটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এপ্রিল-২০২৪ পর্যন্ত ৮৫ টি ব্রাঞ্চ অফিস করেছে। যা কোম্পানির ব্যবসার অগ্রগতিতে ভুমিকা রাখছে।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এনআরবি ইসলামিক লাইফের মোট গ্রাহক সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৮৭ জন। মোট সম্পদ ৪৪ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার ১৪৬ টাকা। লাইফ ফান্ড রয়েছে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২৮ টাকা। কোম্পানির মোট বিনিয়োগ রয়েছে ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৬ টাকা। লাইফ ফান্ড রয়েছে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৫ শত ২৮ টাকা। এখন পর্যন্ত দাবি পরিশোধ হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হল ১০০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১৮ কোটি টাকা।
কোম্পানির ৩ বছরের পথ চলায় অর্জনের মধ্যে অন্যতম হলো- দেশীয় সকল জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনুমোদনের ১ম, ২য় ও ৩য় বছরে সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম অর্জন। বীমা দাবি উত্থাপনের ২৪ ঘন্টা থেকে ৭ দিনের মধ্যে শতভাগ দাবি পরিশোধ। ওভারসিজ ব্যবসা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত একমাত্র জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

Arthobiz |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক : অহিদুজ্জামান মিঞা
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: খান ম্যানশন, ৮-ই, ২৮/এ-৫, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: arthobiz61@gmail.com
যোগাযোগ: 01670045191