
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 23 বার পঠিত
অর্থবিজ ডেস্ক :
আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল দেয়া না হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কাছে ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমান অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। সময়মতো বকেয়া বিল না পেয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেছিল।
আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পাবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই পাওনা পরিশোধ এবং ভবিষ্যতের সরবরাহকৃত বিদ্যুতের অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা হিসেবে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের একটি লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) জমা দেওয়ার শর্ত দেয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার উদ্যোগ নেয়। কিন্ত তা চুক্তিমতো হয়নি বলে দাবি করা হয়। এর আগে ১১ অক্টোবর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘আদানি পাওয়ার’সহ আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থার মোট বকেয়ার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই অর্থের কিছুটা এখনই পরিশোধ না করা গেলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদানি পাওয়ারের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো কতটুকু যৌক্তিক এবং জাতির স্বার্থের কথা কতটুকু চিন্তা করেছে, তা খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল নিয়োগ দিয়েছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষ করে দ্রুত আইনের অধীনে যে প্রকল্পগুলো শুরু করা হয়েছিল, সেগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রকল্পগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত তাদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে থাকে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের এক কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিট রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, আদানি পাওয়ারের বাংলাদেশে প্রতি ইউনিট প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়, যা ভারতের অন্যান্য বেসরকারি উৎপাদকদের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্ল্যান্টের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি। বিগত চুক্তির অধীনে, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি এবং অন্যান্য ভারতীয় প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার
Posted ৬:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman