
| শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 42 বার পঠিত
অর্থবিজ প্রতিবেদক :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আজ শনিবার পদত্যাগ করেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আকাউন্টে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি। এর আগে তার পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার হাইকোর্ট ঘেরাও করে অবস্থান নেয় তার পদত্যাগের দাবিতে। সময় বেধে দেয় দুপুর ১ টা। এ সময়ের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এ সময়ে আইন ও বিচার মন্ত্রনালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আন্দোলনকারি ছাত্রদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানান এবং হাইকোর্ট চত্বরে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাবার অনুরোধ জানিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন। ছাত্ররা তার অনুরোধ মেনে চলে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। অবশেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের ঘোষণা আসে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারি ছাত্রদের এ দাবিও পূরন হলো।
ভিডিও বার্তায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে। আমরা সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। তবে অন্যান্য বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এর আগে অপর এক ভিডিও বার্তায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা শান্ত হোন। আদালতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে। এগুলোর ক্ষতি হলে জাতির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এর আগে আজ শনিবার সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। তাছাড়া হাইকোর্টের অন্যান্য আইনজীবীরা এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এমন প্রেক্ষাপটে ওবায়দুল হাসান বিচারপতিদের বৈঠক বাতিল করেন। কিন্তু তারপরও হাইকোর্ট ঘেরাও করেন শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতিকে দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন তারা।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্ররা সকাল ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ দুপুর ১টার মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। ছাত্রদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, দুপুর ১টার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ না করলে তার পরিণতি হবে শেখ হাসিনার মতো। প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। দলবাজ বিচারপতিদের সরিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের মূল উৎপাটন করা হবে। প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট অঙ্গনে আন্দোনকারী শিক্ষার্থীদের ঢল নামে। বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে হাইকোর্টে আসা শুরু করে। সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনসহ আপিল বিভাগের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের নেতা অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
Posted ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman