
| মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 126 বার পঠিত
অর্থবিজ প্রতিবেদক :
বেসরকারি জীবন বীমা খাতের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পদস্থ পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর্থিক অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সনদ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। বরখাস্তাদেশ পত্রে স্বাক্ষর করেন কোম্পানিটির প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌস ।
বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা হলেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
জানা গেছে, একইসাথে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নেওয়া অর্থ সাতদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া এবং তাদের কাছে থাকা কোম্পানির নথিপত্র, গাড়ি, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জমাদি কোম্পানির এইচআর বিভাগের কাছে অনতিবিলম্বে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সানালী লাইফের প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নামে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এসব কর্মকর্তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অনিয়মের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কিন্তু তাদের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসক। এই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইনসেনটিভের নামে ৩০ লাখ টাকা করে গ্রহণ, প্রশাসককে সহযোগিতা না করার জন্য অন্য কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া, প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে প্রশাসক ও বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল, কোম্পানির উন্নয়ন কর্মীদের মাঝে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, কমিশনের অর্থ বেতন বলে মাঠকর্মীদের মাঝে অপপ্রচার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নিয়েছেন। সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষের তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে, যা বিমা আইন ২০১০ এর আলোকে ফৌজদারি অপরাধ।
অন্যদিকে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার একদিন আগে তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্যাশ ইনসেনটিভ নোট উপস্থাপন করে অনুমোদন করিয়ে নেন। এই ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্য থেকে তিনি নিজে ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
Posted ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪
Arthobiz | zaman zaman